নথিভুক্ত ইতিহাসের সূচনালগ্ন থেকে দেখা যায় যে, মানবজাতি মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য ও এর ভবিষ্যৎ কল্পনামূলক অনুমান ব্যক্ত করেছিলেন। মহাবিশ্ব এসেছে কোথেকে এবং যাচ্ছেই বা কোথায় ? মহাবিশ্বের কি কোনো শুরু ছিল? যদি থেকে থাকে তাহলে তার আগে কি হয়েছিল? কালের চরিত্র কি? কাল কি কখনো শেষ হবে? এসব প্রশ্ন প্রতিনিয়ত মানুষকে ভাবিয়ে চলেছে। এই ভাবনা থেকেই মানুষের আবিস্কার শুরু।
একজন সুপরিচিত বৈজ্ঞানিক (অনেকে বলেন, বার্ট্রাণ্ড রাসেল) একবার জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে বক্ততা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, পৃথিবী কি করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, আবার সূর্য কেন্দ্র রেখে কি করে আমাদের নীহারিকা (galaxy) অর্থাৎ বিরাট এক তারকা সংগ্রহ প্রদক্ষিণ করে ঘোরে। বক্তৃতার শেষে এক বৃদ্ধা উঠে দাঁড়িয়ে বললেন: পৃথিবীটা আসলে চ্যাপ্টা, আর রয়েছে বিরাট এক কচ্ছপের পিঠের উপর।” বৈজ্ঞানিক বিজ্ঞের হাসি হেসে বললেন, “কচ্ছপটা কার উপর দাঁড়িয়ে আছে ?” বৃদ্ধা বললেন, “তলায় পরপর সবই কচ্ছপ রয়েছে।”
এরপর ৩৪০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গ্রীক দার্শনিক অ্যারিষ্টোটল তাঁর অন দি হ্যাভেন্স(ON THE HEAVENS )-মহাকাশ সম্পর্কিত বইতে পৃথিবী যে একটি বৃত্তাকার গোলক এবং একটা চ্যাপ্টা থালা নয়- এ সম্পর্কে দুটি ভাল যুক্তি দেখাতে পেরেছিলেন।
তাছাড়া গ্রীকরা তাঁদের ভ্রমণের ফলে জানতেন দক্ষিণ দিক থেকে দেখলে উত্তর দিক থেকে দেখার তুলনায় ধ্রুবতারাকে (North Star) আকাশের অনেক নিচুতে দেখা যায়। তাই মিশর এবং গ্রীস থেকে ধ্রুবতারার আপাতদৃষ্ট অবস্থানের পার্থক্য পর্যালোচনা করে অ্যারিস্টোটল পৃথিবীর পরিধির একটা অনুমান করেছিলেন চার লক্ষ স্ট্যাডিয়া (stadia)। স্ট্যাডিয়ার দৈর্ঘ্য ঠিক কতটা সেটা জানা যায় না। তবে প্রায় ২০০ গজ হয়তো ছিল। তা হলে ইদানীং কালের স্বীকৃত মাপের তুলনায় অ্যারিষ্টোটলের অনুমান প্রায় দ্বিগুণ। অ্যারিস্টোটল ভাবতেন পৃথিবীটা স্থির এবং সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ ও তারকারা পৃথিবীর চারদিকে বৃত্তাকার কক্ষে চলমান। তিনি এটা বিশ্বাস করতেন তার কারণ অতীন্দ্রিয়বাদী (mystical) যুক্তিতে তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র এবং বৃত্তাকার গতি সবচাইতে নিখুঁত।
এরপর খ্ৰীষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে টলেমী (Ptolemy) এই ধারণা বিস্তার করে ব্রহ্মাণ্ডের একটি সম্পূর্ণ প্রতিরূণ (cosmological model) তৈরী করেছিলেন। পৃথিবী ছিল কেন্দ্রে এবং তাকে ঘিরে ছিল আটটি গোলক। এই গোলকগুলি বহন করত চন্দ্র, সূর্য, তারকা এবং সেই যুগে জানিত পাঁচটি গ্রহ বুধ, শুরু, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি
টলেমীর (Ptolemy) প্রতিরূপ থেকে মহাকাশের বস্তুপিণ্ডগুঙ্গির আকাশে অবস্থান সম্পর্কে মোটামুটি নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব ছিল। সে জন্য টলেমীকে একটা অনুমান করতে হয়েছিল : চন্দ্র এমন একটি পথ পরিভ্রমণ করে, যে পথে অনেক সময় অন্যান্য সময়ের তুলনায় পৃথিবীর সঙ্গে তাঁদের নৈকটা দ্বিগুণ হয়। এর অর্থ চন্দ্রের আকার অনেক সময় অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ দেখানো উচিত। এই ত্রুটি টলেমী বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু তবুও এই প্রতিরূপটি সাধারণভাবে গৃহীত হয়েছিল। অবশ্য সবাই মেনে নেননি। খ্ৰীষ্টীয় চার্চ এই প্রতিরূপ গ্রহণ করেছিল, কারণ তাদের ধর্মশাস্ত্রের সঙ্গে এই প্রতিরূপের মিল ছিল। এই প্রতিরূপের সুবিধা হল, স্থির তারকাগুলির গোলকের বাইরে স্বর্গ এবং নরকের জন্য অনেকখানি জায়গা পাওয়া যায়।
১৫১৪ সালে নিকোলাস কোপারনিকাস (Nicholas Copernicus) নামক একজন পোলিশ পুরোহিত একটি সরলতর প্রতিরূপ প্রচার করেন নিজের নাম না দিয়ে।
তাঁর ধারণা ছিল সূর্য কেন্দ্রে স্থিরভাবে অবস্থান করে এবং পৃথিবী আর অন্যান্য গ্রহ বৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এই চিন্তাধারাকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে প্রায় এক শতাব্দী লাগে। যদিও জার্মান বিজ্ঞানী জোহান কেপলার এবং ইতালীয়ান বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি এই দুজন প্রকাশ্য ভাবে এ তত্ত্বকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করতেন।
কিন্তু অ্যারিষ্টোটগীয় টোলেমীর তত্ত্বের উপর মরণ আঘাত আসে ১৬০৯ খ্রীষ্টাব্দে। সে বছর গ্যালিলিও সদ্য আবিষ্কৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে রাত্রির আকাশ পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেন। গ্যালিলিও পর্যবেক্ষণে নিহিত অর্থ হল, অ্যারিষ্টোটল এবং টোলেমী যা ভাবতেন সেই মতানুসারে যদিও সবারই পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা উচিত, তবুও সব জিনিষই পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না।
একই সময় জোহান কেপলার ও কোপারনিকাসের তত্ত্বের পরিবর্তন করেন। তাঁর মতে গ্রহগুলি বৃত্তাকারে চলমান নয়, চলমান উপবৃত্তাকারে (ellipse: উপবৃত্ত লম্বাটে একটা বৃত্ত) কেপলারের কাছে কিন্তু উপবৃত্তাকার কক্ষ ছিল একটি অস্থায়ী প্রকল্প মাত্র। এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায় অনেক পরে ১৬৮৭ খ্রীষ্টাব্দে। স্যার আইজাক নিউটন তাঁর ফিলোজফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা (Philosophiae Naturalis Principia Mathematica) গ্রন্থটি প্রকাশ করার পর। এ বইটাতে নিউটন একটি প্রকল্পিত সর্বব্যাপী মহাকর্ষীয় বিধি উপস্থাপন করেন, তিনি এই বিধিগুলি বিশ্লেষণ করার জন্য যে জটিল গণিত প্রয়োজন সেটাও সৃষ্টি করেছিলেন।
(প্রচলিত কাহিনী হল: নিউটনের মাথায় একটা আপেল পড়াতে নিউটন অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। এ কাহিনী প্রায় নিশ্চিতভাবে অপ্রমাণিত। নিউটন নিজে যা বলেছেন, তা হল, তিনি চিন্তা করার মেজাজে বসেছিলেন, তখন একটা আপেল পড়তে দেখে তাঁর মাথায় মহাকর্ষ সম্পর্কে ধারণা এসেছে)।
নিউটন দেখিয়েছিলেন, মহাকর্ষ চন্দ্রকে উপবৃত্তাকার কক্ষে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করায় এবং সূর্যের চারপাশে গ্রন্থগুলির উপবৃত্তাকার পথে ভ্রমণের কারণও এই মহাকর্ষ।
কোপারনিকাসের প্রতিরূপ টোলেমীর মহাকাশের নানা গোলক ( celestical spheres ) সম্পর্কে ধারণা দূরীভূত করে এবং তার সঙ্গে এ ধারণাও দূরীভূত হয় যে মহাকাশের একটি স্বাভাবিক সীমানা রয়েছে।
ষােড়শ থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যে কোপারনিকাস, টাইকোব্রাহে,কেপলার, গ্যালিলিও প্রমুখ
বিজ্ঞানীর আবিষ্কার মহাবিশ্বের কেন্দ্র পৃথিবী থেকে সূর্যে স্থানান্তরিত হয়। এরপর প্রশ্ন আসে পৃথিবীর নিজ অক্ষে আবর্তনের দরুন স্থির তারকাগুলির আকাশে আড়াআড়ি ঘূর্ণন (accross the sky) ছাড়া 'সেগুলির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না কেন। নিউটন বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর মহাকর্ষীয় তত্ত্ব অনুসারে তারকাগুলির পরস্পরকে আকর্ষণ করা উচিত। সুতরাং মনে হয়েছিল তারা মূলত গতিহীন থাকতে পারে না। কোনো একটি বিন্দুতে কি তাদের একসঙ্গে পতন হবে না? সে যুগের আর একজন চিন্তানায়ক রিচার্ড বেন্টলী (Richard Bentley) ১৬৯১ খ্রীষ্টাব্দে একটি পত্রে নিউটনকে যুক্তি দেখিয়েছিলেন, এ রকম হতে পারত শুধুমাত্র যদি তারকাগুলির সংখ্যা সীমিত হোত এবং তারা যদি স্থানের একটি সীমিত অঞ্চলে বিতরিত (distributed) থাকত তবে তাদের একসঙ্গে পতন হবে। কিন্তু তাঁর যুক্তি ছিল অন্য দিক থেকে বলা যায় যদি তারকার সংখ্যা অসীম হয়, তারা যদি সীমাহীন স্থানে কমবেশী সমরূপে বিতরিত (distributed) থাকে, তা হলে এ রকম হবে না। কারণ, পতিত হওয়ার মতো কোনো কেন্দ্রবিন্দু থাকবে না। অসীমত্ব নিয়ে বলতে গেলে কি রকম ভুল হতে পারে এই যুক্তি তার একটা দৃষ্টান্ত। অনেক পরে বোঝা গিয়েছিল নির্ভুল দৃষ্টিভঙ্গি হবে শুধু সীমিত পরিস্থিতির বিচার করা। সেই পরিস্থিতিতে তারকাগুলি পরস্পরের উপর পতিত হবে। তারপর প্রশ্ন হলো আরো অনেক তারকাকে যোগ করা যায়, তা হলে কি পরিবর্তন হতে পারে। নিউটনের বিধি অনুসারে বাড়তি তারকাগুলি মূল তারকাগুলির ব্যাপারে গড়ে কোনো পার্থকা সৃষ্টি করবে না।
এখন আমরা জানি মহাবিশ্বের এমন একটি স্থির প্রতিরূপ অসম্ভব যে প্রতিরূপে মহাকর্ষ সব সময়ই আকর্ষণ করে।
অসীম স্থির মহাবিশ্ব সম্পর্কে আর একটি আপত্তি সাধারণত আরোপ করা হয় জার্মান দার্শনিক হাইনরিচ ওলবারসের (Heinrich Olbers) উপরে। তিনি এই তত্ত্ব সম্পর্কে লিখেছিলেন ১৮২৩ সালে। একটি অসীম স্থির মহাবিশ্বে দৃষ্টির প্রতিটি রেখাই একটি তারকার পৃষ্ঠে গিয়ে শেষ হবে। এর বিরুদ্ধে ওলবারসের যুক্তি ছিল দূরের তারকা থেকে নির্গত আলোক অন্তর্বর্তী পদার্থের শোষণের ফলে ক্ষীণতর হবে। কিন্তু এরকম যদি ঘটে তা হলে শেষ পর্যন্ত অন্তবর্তী পদার্থও এমন উত্তপ্ত হবে যে সেগুলি তারকার মতো তাপোদ্দীপ্ত হয়ে উঠবে। সে ক্ষেত্রে রাতের আকাশের সম্পূর্ণটাই সূর্যপৃষ্ঠের মতো উজ্জ্বল হবে। এই সিদ্ধান্ত এড়াবার একমাত্র উপায় এই অনুমান করা যে তারকাগুলি চিরকালই ভাম্বর নয়, তার ভাস্বরতা অতীতের কোনো সীমিত কালে শুরু হয়েছে। এর ফলে আর একটি প্রশ্ন আমাদের কাছে উপস্থিত হয়, সেটা হল তারাগুলি প্রথম জ্বলল কি করে?
অবশ্য এর অনেক আগেই মহাবিশ্বের শুরু নিয়ে আলোচনা। কয়েকটি আদিম সৃষ্টিতত্ত্ব এবং ইহুদী / ক্রীশ্চান / মুসলিম ঐতিহ্য অনুসারে মহাবিশ্বের শুরু একটি সীমিত অতীত কালে এবং সে কাল খুব সুদূর অতীতে নয়। সেন্ট অগাষ্টিন তাঁর বই দি সিটি অব গড (The City of God- ঈশ্বরের নগর) - বলেন: মহাবিশ্বের ভিতরে আপনি সব সময়ই একটি ঘটনার ব্যাখ্যা হিসাবে অন্য একটি পূর্বতন ঘটনাকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন। কিন্তু মহাবিশ্বের নিজের অস্তিত্ব ব্যাখ্যা করার একমাত্র উপায় হল তারও একটা শুরু আছে এই অনুমান করা। সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পৰ্কীয় পুস্তক (Book of Genesis) অনুসারে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে খ্রীষ্টপূর্ব পাঁচ হাজার বছর আগে।
কালে মহাবিশ্বের কোনো শুরু ছিল কিনা এবং মহাবিশ্ব স্থানে সীমিত কিনা এ বিষয়ে পরবর্তীকালে দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট ১৭৮১ সালে প্রকাশিত তাঁর মহান বই (Critique of Pure Reason) তে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। তাঁর যুক্তি ছিল মহাবিশ্বের যদি কোনো আরম্ভ না থেকে থাকে, তা হলে যে কোনো ঘটনার পূর্বেই একটা অসীম কাল থাকা উচিত। তাঁর মতে এটা অসম্ভব। বিরোধী যুক্তির সপক্ষে যুক্তি;মহাবিশ্বের যদি শুরু থেকে থাকে, তাহলে তার পূর্বে একটা অসীম কাল ছিল। তাই যদি হয়, তাহলে একটি বিশেষ সময়ে মহাবিশ্বের আরম্ভ কেন হবে? তত্ত্বের সপক্ষে এবং তার বিরোধী তত্ত্বের সপক্ষে যুক্তিগুলি আসলে একই। দুটোরই ভিত্তি তার অব্যক্ত অনুমান : মহাবিশ্ব চিরকাল থাকুক কিম্বা না থাকুক কাপ চিরন্তন ভাবে অতীতে রয়েছে।
হিসাব করে বলেছিলেন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল 4000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে। ওল্ড টেস্টামেন্টের লােকদের বয়স যােগ করে তিনি এই হিসাব পেয়েছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীতে মনে করা হতাে যে, সূর্যই হচ্ছে আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রবিন্দু। এমনকি আমাদের মহাবিশ্ব প্রসারণশীল তা দেখানোর জন্য ১৮৪২ সালে
ডপলার (Johann Christian Doppler) দেখান যে, কোনো উৎস যদি পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে আপেক্ষিক গতিতে থাকে এবং তা যদি পর্যবেক্ষকের দিকে সরে আসে তাহলে উৎস থেকে আগত তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বেড়ে গেছে বলে মনে হবে আর যদি পর্যবেক্ষক থেকে দূরে সরে যায় তাহলে কম্পাঙ্ক কমে গেছে বলে মনে হবে। একে ডপলার প্রক্রিয়া (Doppler effect) বলে। এ প্রক্রিয়া শব্দ তরঙ্গের বেলায় যেমন সত্যি তেমনি সকল দৃশ্য অদৃশ্য বিকিরণের বেলায়ও সত্যি।
১৮৬৮ সালে স্যার উইলিয়াম হাগিনস (Sir William Huggins)
দেখাতে সক্ষম হন যে কয়েকটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের বর্ণালির ফ্রনহফার কালাে রেখাগুলাে সৌর বর্ণালিতে তাদের স্বাভাবিক অবস্থানের তুলনায় সামান্য লাল বা নীলের দিকে সরে যায়। একে লাল অপসরণ (Red shift) বা নীল অপসরণ (Blue shift) বলে। লাল অপসরণ থেকে জানা যায় নক্ষত্রগুলাে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর নীল অপসরণ থেকে জানা যায় নক্ষত্রগুলাে আমাদের দিকে সরে আসছে। আমাদের ছায়াপথ গ্যালাক্সির নক্ষত্রগুলাের মধ্যে কিছু নক্ষত্রের আলাের নীল অপসরণ হচ্ছে অর্থাৎ এরা পৃথিবীর দিকে সরে আসছে আর কিছু নক্ষত্রের আলাের লাল অপসরণ হচ্ছে অর্থাৎ এরা পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। পৃথিবীর সাপেক্ষে এ নক্ষত্রগুলোর গড় বেগ 30 km/s| আমাদের নিকটবর্তী গ্যালাক্সিগুলাের নক্ষত্র থেকে আগত আলাে হয় নীল অপসরণ অথবা লাল অপসরণ প্রদর্শন করে। তবে আমরা যখন দূরবর্তী গ্যালাক্সি বা গ্যালাক্সিগুচ্ছ (Cluster of galaxies)
দেখাতে সক্ষম হন যে কয়েকটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের বর্ণালির ফ্রনহফার কালাে রেখাগুলাে সৌর বর্ণালিতে তাদের স্বাভাবিক অবস্থানের তুলনায় সামান্য লাল বা নীলের দিকে সরে যায়। একে লাল অপসরণ (Red shift) বা নীল অপসরণ (Blue shift) বলে। লাল অপসরণ থেকে জানা যায় নক্ষত্রগুলাে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর নীল অপসরণ থেকে জানা যায় নক্ষত্রগুলাে আমাদের দিকে সরে আসছে। আমাদের ছায়াপথ গ্যালাক্সির নক্ষত্রগুলাের মধ্যে কিছু নক্ষত্রের আলাের নীল অপসরণ হচ্ছে অর্থাৎ এরা পৃথিবীর দিকে সরে আসছে আর কিছু নক্ষত্রের আলাের লাল অপসরণ হচ্ছে অর্থাৎ এরা পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। পৃথিবীর সাপেক্ষে এ নক্ষত্রগুলোর গড় বেগ 30 km/s| আমাদের নিকটবর্তী গ্যালাক্সিগুলাের নক্ষত্র থেকে আগত আলাে হয় নীল অপসরণ অথবা লাল অপসরণ প্রদর্শন করে। তবে আমরা যখন দূরবর্তী গ্যালাক্সি বা গ্যালাক্সিগুচ্ছ (Cluster of galaxies)
বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এ ধরনের অনুমান ছিল কল্পকাহিনীমূলক রূপকথা এবং অধিকাংশ দার্শনিক (Philosophers) ও আধ্যাত্মিক (Theologians) ব্যক্তিবর্গের মতবাদ। যার কোনাে প্রকার পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ ছিল না, যা দ্বারা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করা যায়। তবে বিংশ শতাব্দীর প্রথমে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জেনে যান যে, সূর্যের অবস্থান আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে বহু বহু দূরে। আর আমাদের এই মহাবিশ্ব অসংখ্য গ্যালাক্সি ও গ্যালাক্সিগুচ্ছ নিয়ে গঠিত। আমাদের ছায়াপথ (MilkyWay)
গ্যালাক্সিতে নক্ষত্রের সংখ্যা প্রায় 10^11 এবং মহাবিশ্বে এরকম প্রায় 10^11 সংখ্যক গ্যালাক্সি রয়েছে আর প্রত্যেক গ্যালাক্সিতে রয়েছে আমাদের গ্যালাক্সির প্রায় সমসংখ্যক নক্ষত্র।
সৃষ্টিতত্ত্ব (Cosmology)-এর মৌলিক নীতিই হচ্ছে মহাবিশ্বের দিক-নিরপেক্ষ (isotropic) এবং সমসত্ত্ব। (homogeneous) অবয়ব। অর্থাৎ মহাবিশ্বের যেকোনাে স্থান থেকে যেকোনাে দিকেই দেখা হােক না কেন মহাবিশ্বকে একইরকম দেখাবে। বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে বিশ্ব সৃষ্টিতত্ত্বের জন্ম শুরু হয়............. চলবে
বন্ধুরা আশা করছি আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে। তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি।
পোস্টটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এ রকম আরও আর্টিকেল
পড়তে আমাদের Sci-Tech Daily Blog টি ভিজিট করুন এবং Subscribe করে রাখুন।
Blog Link : https://sciencetech26.blogspot.com/
Facebook Group : https://www.facebook.com/groups/230864208943355
Facebook Page : https://www.facebook.com/scitechdaily26
Instagram : https://www.instagram.com/scitechdaily26/
Twitter : https://twitter.com/SicTechdaily2
Pinterest : https://www.pinterest.com/scitechdaily26/
YouTube : https://www.youtube.com/channel/UC3hypIzJcpwRoBuToQzoeUg
Blog Link : https://sciencetech26.blogspot.com/
Facebook Group : https://www.facebook.com/groups/230864208943355
Facebook Page : https://www.facebook.com/scitechdaily26
Instagram : https://www.instagram.com/scitechdaily26/
Twitter : https://twitter.com/SicTechdaily2
Pinterest : https://www.pinterest.com/scitechdaily26/
YouTube : https://www.youtube.com/channel/UC3hypIzJcpwRoBuToQzoeUg
Comments
Post a Comment