How to Calculate Resistance

ইলেক্ট্রনিক্সের এই বিশাল জগতকে যে কম্পোনেন্টগুলো সৌন্দর্যমন্ডিত ও সহজ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো রেজিস্টর।রেজিস্টর শব্দের অর্থ হলো রোধ। বুজতেই পারছেন নিশ্চয় এই কম্পোনেন্টটির কাজ হলো কোন কিছু রোধ করা পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রোধ বলে। অর্থ্যাৎ আমরা বুজতে পারলাম যে রেজিস্টর হলো একটি সাধারণ পরিবাহীর মতোই। কিন্তু এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর মধ্যে দিয়ে যখন বিদ্যুৎ চলাচল করে তখন ইলেক্ট্রন বাধাগ্রস্থ হয়। এর এই ধর্মকেই রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। রেজিস্টরের কাজ এবং গঠনের উপর ভিত্তি করে এগুলো নানা রকম হয়ে থাকে।


আসুন রেজিস্টরের কিছু ছবি দেখে নেই।



বিভিন্ন প্রকার রেজিস্টরের কিছু ছবি দেখে নেয় যাক।

একটি রেজিস্টরের অভ্যন্তরীণ গঠন

যেহেতু আমরা আজ রেজিস্টর সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো না তাই সে বিষয়ে কিছু লিখছি না। আমরা রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স নিয়ে কথা বলবো। প্রায় সব রেজিস্টর গুলোই দেখতে একইরকমের হলেও এদের মান কিন্তু বিভিন্ন রকম। মান বলতে কোন রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স কেমন সেটাকে বুজাচ্ছি। রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স পরিমাপের একক হলো ওহম (Ω)। আর এক হাজার ওহম কে বলা হয়ে তাকে এক কিলো ওহম। সার্কিট এবং কাজের ধরন অনুযায়ী আমাদের এক একসময় এক এক রকম রেজিস্টরের প্রয়োজন হয়। প্রায় একইরকম দেখতে রেজিস্টর গুলোকে দেখে সহজে পার্থক্য করা যায় না কোন রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স কত।



কারণ রেজিস্টর গুলো এত ছোট হয়ে থাকে যে এদের গায়ে এর ভ্যালু লিখা একটু কষ্টকর হয়ে যায়। এর পরিবর্তে রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করা হয় বিশেষ কালার কোড।পূর্বেই আমরা রেজিস্টরের ছবি দেখেছি। সেখানে দেখেছি এদের গায়ে কিছু কালার ব্যান্ড থাকে। এই কালার ব্যান্ডগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই যে কোন রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স জানা সম্ভব। সাধারণত রেজিস্টর গুলোতে ৪টি অথবা ৫ টি কালার ব্যান্ড থাকে। তবে ৬ ব্যান্ডের রেজিস্টরও হয়ে থাকে। সবগুলোর ক্ষেত্রেই নিয়ম প্রায় একইরকম। আসুন আজকে আমরা রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করার পদ্ধতি নিয়ে কথা বলি।রেজিস্টরের গায়ে মোট ১২ রকম কালার ব্যান্ড দেখা যায়। এই প্রতিটি কালারেরই একটি নাম্বার রয়েছে। আসুন দেখে নেই কোন কালারের নাম্বার কত।


ব্যান্ডের রেজিস্টরের ক্ষেত্রে তিনটি ব্যান্ড রেজিস্টরের মান প্রকাশ করে এবং ৪র্থ ব্যান্ডটি রেজিস্টরের টলারেন্স ভ্যালুকে বুজায় সাধারণত সোনালী (Gold) এবং রুপালী (Silver) কালার ব্যান্ড ব্যবহার করেই রেজিস্টরের টলারেন্স ভ্যালু প্রকাশ করা হয়। তাই কোন রেজিস্টরের গায়ে এই দুই কালারের যে কোন একটি কালার থাকলে সে ব্যান্ডকে আমরা ৪র্থ ব্যান্ড হিসেবে ধরবো। অর্থ্যাৎ কালার ব্যান্ডের সিরিয়াল হবে ৪র্থ ব্যান্ড যে প্রান্তে আছে তার বিপরীত প্রান্ত থেকে। ৪র্থ কালার ব্যান্ড যেখানে আছে তার বিপরীত প্রান্ত থেকে আমাদের ১ম, ২য় ও ৩য় কালার ব্যান্ড গুলো কি সেটা দেখতে হবে। আমি একটা উদাহরণ দিয়ে পুরো বিষয়টি বুজিয়ে দিচ্ছি। ধরে নিলাম, আমরা নিচের ছবিতে দেয়া রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করতে চাচ্ছি।

ছবি তে দেয়া রেজিস্টরের ৪টি কালার ব্যান্ডের মধ্যে একটি সোনালী কালারের ব্যান্ড আছে। তার মানে বুজাই যাচ্ছে এটি ৪র্থ কালার ব্যান্ড যেটি রেজিস্টরের টলারেন্স ভ্যালু প্রকাশ করে। তার মানে আমরা বিপরীত প্রান্ত থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় ব্যান্ড হিসাব করবো। এখন দেখুন এই রেজিস্টরের ১ম ব্যান্ডের কালার হলো হলুদ যার মান হলো ৪। রেজিস্টরের ২য় ব্যান্ডটির কালার হলো বেগুনী যার মান হলো ৭। রেজিস্টরের ৩য় ব্যান্ডটি হলো লাল যার মান হলো ২। এখন ১ম ও ২য় ব্যান্ডের মানকে পাশাপাশি বসালে আমরা পাই ৪৭। এবার ৩য় ব্যান্ডটির মান যেহেতু ২ তাই আমরা ৪৭ এর সাথে ২টি শূন্য বসাবো। এখন একটি কথা বলে রাখি তা হলো যদি ৩য় কালার ব্যান্ডের মান শুন্য হয় তাহলে কোন শূন্য বসাতে হবে না। তাহলে সংখ্যাটি দাঁড়াবে ৪৭০০। এটাই হলো আমাদের রেজিস্টরের ভ্যালু। অর্থ্যাৎ আমাদের ছবিতে দেখানো রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স হলো ৪৭০০ ওহম বা ৪.৭ কিলো ওহম। এবার আসি টলারেন্স ভ্যালু নিয়ে। দেখুন আমরা জানি যে রেজিস্টরের একটি ফিক্সড মান থাকলে বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে (যেমন: তাপমাত্রা) এর রেজিস্ট্যান্সের কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। একটি রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স কতটুকু বাড়ার বা কমার সম্ভাবনা আছে তাই হলো তার টলারেন্স। টলারেন্স প্রকাশ করার জন্য সোনালী এবং রুপালী এ দুটি কালার ব্যান্ড হয়ে থাকে আমরা আগেই জেনেছি। যদি সোনালী কালার ব্যান্ড দেয়া থাকে তাহলে রেজিস্টরের যে মান হয় তার থেকে ৫% কম বা বেশি হতে পারে এটা বুজায়। আর যদি রুপালী কালার ব্যান্ড দেয়া থাকে তাহলে বুজতে হবে রেজিস্টরের যে মান তার থেকে ১০% কম বা বেশি হতে পারে। যেমন আমরা একটু আগে যে রেজিস্টরের মান বের করলাম ৪৭০০ ওহম তার টলারেন্স কালার ব্যান্ড হলো সোনালী। অতএব ৪৭০০ এর ৫% অর্থ্যাৎ ২৩৫ ওহম কম বা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এভাবেই ৪ ব্যান্ডের রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করতে হয়। এবার আসুন ৫ ব্যান্ডের ক্ষেত্রে নিয়মটা জেনে নিই। ৫ ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও নিয়মটা প্রায় একইরকম। ৫ম ব্যান্ডটি রেজিস্টরের টলারেন্স ভ্যালু প্রকাশ করে। টলারেন্স কিভাবে বের করেতে হয় তা তো বললামই একটু আগে। এবার আসি বাকি ৪টি ব্যান্ড নিয়ে। এখানে ১ম, ২য় ও ৩য় ব্যান্ডের মানকে পাশাপাশি লিখতে হবে। এরপর ৪র্থ ব্যান্ডের মান যত ততগুলো শুন্য বসালে যে সংখ্যা পাওয়া যাবে সেটাই হলো ওই রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স। বুজতেই পারছেন যে এটা একদম প্রায় ৪ কালার ব্যান্ডের রেজিস্টরের মতোই।

আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য নিচে ছোট একটি ভিডিও ক্লিপ এ পুরো বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি



বন্ধুরা আশা করছি আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে। তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। পোস্টটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এ রকম আরও আর্টিকেল পড়তে আমাদের Sci-Tech Daily Blog টি ভিজিট করুন এবং Subscribe করে রাখুন।

Blog Link             : https://sciencetech26.blogspot.com/
Facebook Group : https://www.facebook.com/groups/230864208943355
Facebook Page    : https://www.facebook.com/scitechdaily26
Instagram            : https://www.instagram.com/scitechdaily26/
Twitter                 : https://twitter.com/SicTechdaily2
Pinterest              : https://www.pinterest.com/scitechdaily26/
YouTube              : https://www.youtube.com/channel/UC3hypIzJcpwRoBuToQzoeUg

Comments