টিউবেরিয়াল স্যালাইভারী গ্ল্যান্ড (Tuberial salivary glands)

                           

আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রে এনাটমির যেকোনো বইয়ে তিন রকমের প্রধান লালাগ্রন্থির কথাই পাওয়া যায়- দু' কানের নীচে একজোড়া প্যারোটিড গ্রন্থি, চোয়ালের নীচে একজোড়া সাবম্যাণ্ডিবুলার গ্রন্থি আর জিভের তলায় একজোড়া সাবলিঙ্গুয়াল গ্রন্থি। কিন্তু নেদারল্যান্ডস ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা মানুষের নাসিকাগহ্বর ও গলার পিছনের অংশে লুকিয়ে থাকা একজোড়া নতুন লালাগ্রন্থি আবিষ্কার করেছেন৷ এই আবিষ্কারে রীতিমতো বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।

নেদারল্যান্ডসের সার্জন তথা গবেষক Dr. Matthijs Valstar , তিনি নিজে এবং নেদারল্যান্ডস ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের গবেষকরা এই গ্রন্থিটির খোঁজ পান এবং তিনি এই গ্রন্থিটি 
সম্পর্কে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন যা, নেদারল্যান্ডসের ‘অঙ্কোলজি’ নামক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত Radiotherapy and Oncology' জার্নালে প্রকাশিত হয় সেপ্টেম্বর, ২০২০

খুব আশ্চর্যজনক হলেও এটাই সত্যি যে এই অঙ্গের আবিষ্কারের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। বরং প্রস্টেট ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে নেদারল্যান্ডস ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এই গ্রন্থির খোজ পান। বিজ্ঞানীরা একটি নতুন পিএসএমএ পিইটি-সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করছিলেন, যা গণিত টমোগ্রাফি (সিএটি) স্ক্যান এবং পজিট্রন নিঃসরণ টমোগ্রাফির (পিইটি) স্ক্যানগুলির সংমিশ্রণে প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এই কাজ করার জন্য, চিকিৎসকরা একজন রোগীকে একটি তেজস্ক্রিয় ট্রেসার ইনজেকশান দেন এবং তারপর গবেষণা শুরু করেন। গবেষণা করতে গিয়ে হটাৎ এই একজোড়া লালাগ্রন্থি আবিষ্কৃত হয় আকস্মিকভাবেই, দৈবযোগে।
কি নাম রাখা হল এই গ্রন্থির:
গবেষকেরা বলছেন, যেহেতু কণ্ঠনালীর ঊর্ধ্বাংশে, টরাস টিউবারিয়াস (torus tubarius) নামক তরুণাস্থির ওপর এই গ্রন্থিজোড়া অবস্থিত, তাই এদের নামকরণ করা হল- টিউবেরিয়াল স্যালাইভারী গ্ল্যান্ড (Tuberial salivary glands)
                             


নতুন আবিষ্কৃত এই লালাগ্রন্থি গড়ে ১.৫ ইঞ্চি বা ৩.৯ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট। গবেষকদের মতে, এই গ্রন্থিদ্বয় সম্ভবত নাক এবং মুখের পেছনে কণ্ঠের উপরিভাগকে লুব্রিকেট করতে সাহায্য করে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, গ্রন্থিগুলি যে আছে তা জানা না থাকায় এতদিন ক্যান্সার রোগীদের ওই অঞ্চলেও রেডিয়েশন দেওয়া হত৷ সেক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে খাওয়া, কথা বলা ইত্যাদিতে সমস্যা হত তাঁদের৷ এখন থেকে গ্রন্থিময় এলাকাগুলি বাঁচিয়ে রেডিয়েশন দেবেন ডাক্তাররা৷ ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার যন্ত্রণা থেকে অনেকটাই মুক্ত হতে পারবেন ক্যান্সার রোগীরা।

বন্ধুরা আশা করছি আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে। তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। পোস্টটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এ রকম আরও আর্টিকেল পড়তে আমাদের Sci-Tech Daily Blog টি ভিজিট করুন এবং Subscribe করে রাখুন।

Blog Link             : https://sciencetech26.blogspot.com/
Facebook Group : https://www.facebook.com/groups/230864208943355
Facebook Page    : https://www.facebook.com/scitechdaily26
Instagram            : https://www.instagram.com/scitechdaily26/
Twitter                 : https://twitter.com/SicTechdaily2
Pinterest              : https://www.pinterest.com/scitechdaily26/
YouTube              : https://www.youtube.com/channel/UC3hypIzJcpwRoBuToQzoeUg

Comments