কানের কাছে মশা গুন গুন করার পেছনে কানের ময়লাও দায়ী


মশা, সবার কাছে বিরক্তিকর এক প্রাণী। তারা কেবল মূল্যবান রক্তই চুষে খেয়ে আমাদের ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গুর মতাে রােগে আক্রান্ত করে না, আক্রমণ করার আগে তারা কানের পাশে বিরক্তিকর গুন গুন শব্দও করে। এই গুন গুন শব্দই তাদের কামড়ের চেয়েও বেশি বিরক্তিকর। যাইহােক, কথা হলাে মশা যে আমাদের কানের এখন আশেপাশে গুন গুন করে,এর পেছনেও কি কোন বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা আছে ?

উত্তর হবে- হ্যাঁ। তবে ব্যাখ্যায় যাওয়ার আগে কিছু কথা জেনে নিই। মশার যে বিরক্তিকর শব্দ আমরা শুনতে পাই, তা সৃষ্টি হয় তাদের ডানা থেকে। তারা যখন খুব দ্রুত (প্রতি সেকেন্ড ২৫০বার) ডানা ঝাপটায় তখন এমন শব্দ সৃষ্টি হয়।

মেয়ে এবং পুরুষ মশা উভয়ই এমন শব্দ সৃষ্টি করে, তবে মেয়ে মশাগুলাে পুরুষ মশার চেয়ে বেশি শব্দ সৃষ্টি করতে পারে। আমরা বেশি শুনতে পাই মেয়ে মশার সৃষ্টি করা শব্দ কারণ এরাই সাধারণত আমাদের রক্ত খায়।আর পুরুষ মশা ফুলের মধু আর উদ্ভিদের

কান্ড থেকে রস খায় তাই এরা আমাদেরকে আক্রমণ করার সম্ভবনা নেই। এখন মূল আলােচনায় যাওয়া যাক, কেন মশা কানের আশেপাশে গুন গুন করে?প্রথমত, মশার দল কানের আশেপাশে গুন গুন করার কারণ তারা এর গন্ধে আকৃষ্ট হয়। আপনি লক্ষ্য করলে বুঝবেন, নাভি ছাড়া আমাদের শরীরের সবচেয়ে নােংরা স্থানের মধ্যে কান একটি। বিশেষত কানের ভেতরের অংশ। যদি কান নিয়মিত পরিষ্কার করা নাহয় তবে কানের মােম তৈরি হয়, যা এক ধরনের গন্ধ সৃষ্টি করে এবং এই গন্ধই তারা পছন্দ করে। আর এ গন্ধের টানেই এরা আপনার কানের কাছে গুন গুন করে।



অন্য একটি কারণ, মশা তাপ এবং কার্বনডাই-অক্সাইড এর প্রতি আকৃষ্ট যা আমরা প্রতিনিয়ত শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে তৈরি করছি। আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের পরিমাণ যত বেশি হবে, তত কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি তৈরি হবে এবং তারা আপনার প্রতি আরও আকৃষ্ট
হবে। কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয় অধিকাংশ নাক আর মুখ দিয়ে, তাহলে কানে কেন গুন গুন করে? এমন প্রশ্ন মনে আশাটাই স্বাভাবিক। তবে কান, নাক আর মুখ সবই খুব কাছাকাছি নয় কি!
আরও একটি কারণ থাকতে পারে। যেহেতু শরীরের অন্য অংশের তুলনায় মুখ খালা থাকে বেশি, মশা এতে আক্রমণও করে বেশি। তাই আপনি তাদের গুন গুন শব্দটা বেশি শুনতে পান।


মশা কার্বন ডাই-অক্সাইড, কানের মােমের প্রতি আকৃষ্ট হয়, ঠিক আছে কিন্তু গুন গুন শব্দ সৃষ্টি করে কেন? আমাদের মতে, এরা আমাদের বিরক্ত করতেই এমন শব্দ সৃষ্টি করে। কিন্তু না এর পেছনেও কারণ আছে।কারণ হলাে এটা তাদের প্রজননের একটি আচরণ। এরা এমন সুরকে ভালােবাসার গান হিসেবে ব্যবহার করে। মেয়ে এবং ছেলে উভয়ই তাদের সুরের ফ্রিকুয়েন্সি পরিবর্তন করে সঙ্গী খুঁজে। আর পরবর্তীতে প্রজনন ঘটায়।
এখন আপনি মশার বিরক্তিকর গুন গুন শব্দ থেকে বাঁচতে কি করবেন। প্রথমত, আপনি নিয়মিত কান পরিষ্কার রাখতে পারেন, চারপাশের তাপমাত্রা কম করার চেষ্টা করতে পারেন; যেমন, ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। আর আপনার রক্তের টাইপ যদি O টাইপ হয়, তাহলে তাে মশা আপনাকে আরও বেশি পছন্দ করবে। এক্ষেত্রে আপনি মশা নিরােধের প্রচলিত পদ্ধতিগুলাে ব্যবহার করে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করতে পারেন।

মশা কিভাবে আমাদের রক্ত খায় তার একটি ভিডিও ক্লিপ




বন্ধুরা আশা করছি আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে। তো বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। পোস্টটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এ রকম আরও আর্টিকেল পড়তে আমাদের Sci-Tech Daily Blog টি ভিজিট করুন এবং Subscribe করে রাখুন।

Blog Link             : https://sciencetech26.blogspot.com/
Facebook Group : https://www.facebook.com/groups/230864208943355
Facebook Page    : https://www.facebook.com/scitechdaily26
Instagram            : https://www.instagram.com/scitechdaily26/
Twitter                 : https://twitter.com/SicTechdaily2
Pinterest              : https://www.pinterest.com/scitechdaily26/
YouTube              : https://www.youtube.com/channel/UC3hypIzJcpwRoBuToQzoeUg

Comments